ফাইল: ছবি

অর্থপাচার, মানব পাচারে জড়িত নয় এমপি পাপুল তা অবশ্যই প্রমান হবে

প্রকাশিত: ১:০০ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৯, ২০২০

লক্ষ্মীপুর ২ আসনের সাংসদ কাজি শহিদ ইসলাম পাপুল বর্তমানে দেশবিদেশে আলোচিত ইস্যু। দেশী-বিদেশী প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তাকে নিয়ে আলোচনা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে পক্ষে-বিপক্ষে ঝড় তুলছেন অনেকেই। লক্ষনীয় বিষয় যে সর্বত্র আলোচিত-সমালোচিত হলেও তিনি নিজ জন্মস্থান রায়পুরের মানুষের কাছে ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ হিসেবে পরিচিত ।

বর্তমান সার্বিক পরিস্হীতি নিয়ে জানতে চাইলে এমপি কাজি শহিদ ইসলাম পাপুলের সহধর্মীনি মহিলা সংরক্ষিত আসনের এমপি মিসেস সেলিনা ইসলাম দিপ্তকন্ঠে বলেন, এমপি শহিদ ইসলাম পাপুল একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। একজন গর্বিত রেমিট্যান্স যোদ্ধা।

বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে শক্তিশালী চালক হলো ফরেন রেমিট্যান্স। আর পাপুল সেই রেমিট্যান্সই দেশে নিয়ে আসছেন। অথচ একজন সৎ ব্যবসায়ী এবং সুস্থ ধারার রাজনীতিবীদের সফলতাকে ভূলণ্ঠিত করার হীন প্রয়াশে জোট বেধেছে দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা। যদিও তাদের এই প্রচেষ্টা সফল হবে না।

পাপুল এমপি অর্থপাচার মানব পাচার এসবের সাথে কোন ভাবেই জড়িত নয় তাহা অবশ্যই প্রমান হবে।

এমপি সেলিনা ইসলাম বলেছেন, ইউনিয়ন ব্যাপি দলের অগ্রতিকে তরান্বিত করার লক্ষে রায়পুর উপজেলার সকল ইউনিয়নের দলিয় অফিস ও বিনোদনের জন্য টিভিসহ অফিস খরচ বাবত মাসে ১২ হাজার টাকা দিয়েছে। দলের নেতা-কর্মীদের দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমের জন্য প্রায় ৬০ টি মটরবাইক প্রদান করেন। দলের ও দেশের সকল জাতিয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায় করেন।

সেলিনা ইসলাম এমপি আরো বলেন তিনি শুধূ দল নয় রায়পুরের শিক্ষার উন্নয়নে এমপি পাপুল স্কুল কলেজ, মাদরাসার মাঠের সংস্কারের জন্য ব্যয় করেছেন কয়েক লক্ষ টাকা। শিক্ষকদের জীবনযাত্রার উন্নয়নে শিক্ষক সমিতি,ইমাম মোয়াজ্জিন সমিতিকে দান করেছেন লক্ষ লক্ষ টাকা, মসজিদের উন্নয়নে দিয়েছেন দেড় কোটি টাকা।

এ ছাড়াও ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রতি ইউনিয়নে গরু বিতরণ করেছেন কাঙ্গালী ভোজের জন্য। কর্মীদের ঈদ সামগ্রীসহ নগদ টাকা প্রদান করেছেন।

রায়পুর থানা পুলিশ প্রশাসনের কার্যক্রমকে আরও বেশি গতিশীল করতে একটি পিকআপভ্যান ও দুইটি মটর সাইকেল দিয়েছেন। লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ লাইনে একটি এ্যাম্বুলেন্স ও রায়পুর পৌরসভাকে একটি এ্যাম্বুলেন্স প্রদান করেছেন। অনুদান দিয়েছেন ঢাকা জাতীয় প্রেস কাব, ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি, লক্ষ্মীপুর প্রেস কাব, রায়পুর প্রেস ক্ললাব সহ বিভিন্ন পেশাজীবীদেরকে সহযোগতা করেছেন অকাতরে।

তিনি অসহায় হতদরিদ্র রোগীদের এবং দলীয় লোকদের অসুস্থ্যকালিন হাসপাতালে ভর্তিসহ সকল চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করেন। সনাতন ধর্মাবলম্ভীদের প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা তাদের মন্দিরের উন্নয়ন ও ধর্মীয় উৎসবে সহায়তা করেছেন।

এমপি সেলিনা ইসলাম (সিআইপি) বলেন তিনি পাপুল এমপি দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্রের শিকার সাংসদ শহীদ ইসলাম পাপুল। কুয়েত সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে পাপুলের কোম্পানি ’মারাফি কুয়েতিয়ার’ ব্যবসায়িক চুক্তি হওয়ায় সেদেশে তার প্রতিদ্বন্ধীরা তার বিরুদ্বে একজোট হয়েছে।

একইসঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতিতেও ব্যাপক আলোচিত পাপুলের বিপরীতে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক পরিমন্ডলে বিভিন্ন শত্রুর সৃষ্টি হয়েছে বলে এমনটাই দাবি করেছেন সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ও পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম।

তিনি বলেন আমার স্বামী মোহাম্মদ শহীদ ইসলাম পাপুল কুয়েতে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি খ্যাতনামা মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও। এই কোম্পানিতে কুয়েতি অংশীদারত্ব ও রয়েছে।

এমপি পাপুলের এই প্রতিষ্ঠানে ১৫ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক কর্মরত। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কুয়েতের সঙ্গে ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছেন।

 

ভুলুয়াবিডি/এএইচ