করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি রুশ বিজ্ঞানীর

করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি রুশ বিজ্ঞানীর

প্রকাশিত: ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০২০

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) মহামারির প্রকোপে স্তব্ধ গোটা বিশ্ব। ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত এ ভাইরাস থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। যে কারণে প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রতিষেধকের অপেক্ষায় তীর্থের কাকের মতো চেয়ে আছে বিশ্বের মানুষ।

এদিকে করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের লক্ষ্যে বড় সাফল্য দাবি করলেন রুশ বিজ্ঞানীরা। বলেন,গামালেই ইনস্টিটিউট অব এপিডেমোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি তৈরি করা করোনার ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা সফল হয়েছে, যা বিশ্বে প্রথম।

রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুটনিকের এক খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার গামালেই ইন্সটিটিউট অব এপিডেমোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি-এর উদ্ভাবিত করোনা ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফলভাবে শেষ হয়েছে। এই পরীক্ষা ১৮ জুন শুরু হয়েছিল। পরীক্ষাটি পরিচালনা করে রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেচেনভ ফার্স্ট মস্কো স্টেট মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি।

সেচেনভ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল প্যারাসাইটোলজি,ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ভেক্টর বর্ন ডিজিসেস’র পরিচালক অ্যালেক্সান্দ্রা লুকাসেভ জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন পরীক্ষার এ পর্যায়ের মূল লক্ষ্য ছিল মানব দেহে তা কতটা নিরাপদ তা পর্যবেক্ষণ করা। যা সফলভাবে শেষ হয়েছে।

তিনি বলেন, এই ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ নিরাপদ। বর্তমানে যেসব ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে সেগুলোর সঙ্গে এই করোনা ভ্যাকসিনের সামঞ্জস্য আছে।

লুকাসেভ আরও জানান, ভ্যাকসিনটির উদ্ভাবন এগিয়ে নিতে ইতোমধ্যে উদ্ভাবকরা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, ভাইরাসের কারণে মহামারি পরিস্থিতির জটিলতা ও সম্ভাব্য উৎপাদন বাড়ানো।

এর আগে রেমডেসিভির নিয়ে আশার আলো দেখা গেছে। পরে ইতালি দাবি করেছিল তাঁরা আবিষ্কার করে ফেলেছে কভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন বা টিকা। এই টিকা পরীক্ষার পর আশানুরূপ ফল মিলেছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।

এর আগেও একাধিকবার করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন অথবা প্রতিষেধক তৈরির খবর সামনে এসেছে। আবার পরে তা হতাশও করেছে। তবে রুশ বিজ্ঞানীদের এদিনের দাবি সত্যি হলে করোনার বিরুদ্ধে চলতি যুদ্ধে জয় নিশ্চিত বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

উল্লেখ্য, উদ্ভাবনের জন্য ভ্যাকসিনের কয়েকটি ধাপে পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। প্রি-ক্লিনিক্যাল ধাপের পরীক্ষায় গবেষকেরা পশুর দেহে তা প্রয়োগ করেন এবং তাতে ভাইরাস প্রতিরোধী ক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করেন।

এরপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রথম ধাপে অল্প কয়েকজন মানুষের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয় নিরাপত্তা ও প্রতিরোধী ক্ষমতা মূল্যায়নের জন্য। এই পর্যায়ে কার্যকর হলে মানবদেহে পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপে কয়েক শ মানুষের শরীরে তা প্রয়োগ করে নিরাপত্তা ও ডোজ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

এই পরীক্ষার তৃতীয় ধাপে এসে কয়েক হাজার মানুষের শরীরে ভ্যাকসিন দিয়ে এর কার্যকারিতা, নিরাপত্তা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা হয়। সূএ: স্পুটনিক

 

ভুলুয়াবিডি/এএইচ

নিউজটি শেয়ার করুন।