ঢাকা-৫ উপনির্বাচন: কে পাচ্ছেন আ’লীগের মনোনয়ন ভুলুয়া বাংলাদেশ ভুলুয়া বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: ১২:৪৯ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৭, ২০২০ করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো উচ্যবাচ্য না থাকলেও থেমে নেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচার ও প্রচারণা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে রাজধানীর দেয়ালে-দেয়ালে শোভা পাচ্ছে মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের ব্যানার-ফেস্টুন-পোস্টার। তবে, আ’লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, নির্বাচন-প্রক্রিয়া শুরু হলে প্রার্থী মনোনয়নের বিষয় নিয়ে বসবেন দলের তারা। প্রসঙ্গত, গত ৬ মে ঢাকা-৫ আসনের প্রবীণ সংসদ সদস্য ও আ’লীগ নেতা হাবিবুর রহমান মোল্লা মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে গত ১০ মে ঢাকা-৫ আসন শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। করোনা পরিস্থিতিতে কবে এ আসনের উপনির্বাচন হবে—তার দিনক্ষণ এখনো ঠিক করেনি নির্বাচন কমিশন। তবে, আওয়ামী লীগের দলীয় পরিমণ্ডলে এরই মধ্যে আলোচনা চলছে কে হবেন নৌকার কান্ডারি। আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, অবস্থানগত দিক থেকে ঢাকা-৫ আসন দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় এলাকা। এখানে দল থেকে অভিজ্ঞ ও নিবেদিত ব্যক্তিকেই প্রার্থী দেয়া হবে। সেক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত তরুণ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, বিরোধী দলের থাকার সময় আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছে, এমন নেতার হাতেই হয়তো উঠতে পারে মনোনয়ন। এর সঙ্গে যুক্ত হবে করোনাকালে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কে কতটা কাজ করেছেন, তাও। তবে এসব অবদান বিচার বিশ্লেষণপূর্বক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানা গেছে, ঢাকা-৫ (ডেমরা, যাত্রাবাড়ী ও আংশিক কদমতলী) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন। তিনি বলেন, ‘দলের দুঃসময়ে অজস্র মামলায় জেলে যেতে হয়েছে। এলাকার মানুষ তাদের সুখে-দুঃখে পাশে পেয়েছে। শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী করোনা-সংকটে থাকা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। মনোনয়ন পেলে মানুষের জন্য আরও কাজ করার সুযোগ থাকবে।’ দীর্ঘদিন ঢাকা পাঁচ আসনে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রয়াত হাবিবুর রহমান মোল্লা। প্রবীণ এই নেতার মৃত্যুর পর তার উত্তরসূরি হিসেবে আলোচনায় এসেছে ছেলে মশিউর রহমান সজল’র নামও। তিনি বলেন, বাবা দীর্ঘদিন মানুষের জন্য কাজ করে তাদের ভালোবাসা পেয়েছে।তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে জনগণ কখনও নিরাপত্তাহীণতায় ভোগেনি। জনগণ আমাদের পরিবারকে আস্থার জায়গা মনে করে। মনোনয়ন পেলে জনগণের সেবায় বাবার মতো নিয়োজিত থাকবো।’ মনোনয়নের আলোচনা থাকা আরেক নেতা যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ মুন্না। তিনি বলেন, ‘দলের বিভিন্ন সংকটে কাজ করেছি। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সামাজিক কর্মকাণ্ডে মানুষের পাশে থাকার সুযোগ হয়েছে। মনোনয়ন পেলে আরও ভালোভাবে জনগণের সেবা করবো।’ আলোচনায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য নেহরীন মোস্তফা দিশিও। তিনি বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হিসেবে মানুষের খুব কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। আমাদের পরিবার থেকে কেউ এলে জনগণ সত্যিকার অর্থেই জনপ্রতিনিধি পাবে। তাদের হয়ে সংসদে কথা বলবে। এজন্য মনোনয়ন প্রত্যাশী আমি। এছাড়া আলোচনায় রয়েছেন যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মনিরুল ইসলাম মনুও। জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘জনগণের সঙ্গে যার সম্পৃক্ততা বেশি, গ্রহণযোগ্যতা বেশি, যিনি দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ, এমন কাউকে দল প্রাধান্য দেবে। এছাড়া দলের দুর্দিনে জীবন বাজি রেখে যিনি লড়াই সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছেন, সে বিষয়ও বিবেচনায় রাখা হবে।’ বিশেষ করে করোনায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেই নেতা মানুষের জন্য কাজ করেছেন, তাকে প্রধান্য দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। ভুলুয়াবিডি/এএইচ পোস্টটি দেখা হয়েছে- ২০৩ শেয়ার করুন গণমাধ্যম শেয়ার করুন