ফকিরহাটের শিকদার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রতারণার শীর্ষে

প্রকাশিত: ৩:৩৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২২, ২০২০

সাগর মল্লিক (বাগেরহাট প্রতিনিধি): বাগেরহাট ফকিরহাট বাজার সংলগ্ন শিকদার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে। চলছে অদক্ষ টেকনিশিয়ান, অনুমোদন বিহীন এবং মেডিকেল সম্পর্কে জ্ঞান নেই এমন নার্স দ্বারাই। ক্লিনিকের ওয়ার্ড বয় দ্বারা চলছে এক্স-রে।

তবে সেই এক্স-রেও করা হচ্ছে অবৈধভাবে। নেই কোনো অনুমোদন। সেবিকা হওয়ার মতো কোনো যোগ্যতা না থাকলেও বনে গেছেন সেবিকা। প্রতিনিয়তই ক্লিনিকে সেবা দান করছেন অদক্ষ সেবিকা।

এমন অদক্ষ সেবিকা দ্বারা কতটুকুইবা ভাল সেবা আশা করা যায়? ক্লিনিকের ডিউটি ডা: একজন ‘এম বিবি এস’ রেজিস্ট্রার ডা: থাকার কথা থাকলেও সেখানে একজন ডিপ্লোমধারী দ্বারা চলছে চিকিৎসা।

ভুক্তভোগীরা জানান, ক্লিনিকে অনেক মেজর অপারেশন হয়। অপারেশনে ক্লিনিকের ডিউটি ডাক্তার সহায়তা করার কথা থাকলেও ‘এম বিবি এস’ ডাক্তার না থাকায় আয়া দিয়ে সেই কার্যক্রম চলে।

এ বিষয়ে কর্মরত ডিউটি ডাক্তার উদয় সরকারের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি।

ক্লিনিকের পরিচালক ডাক্তার মাহফুজ শিকদারের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের এক্স-রের জন্য অনুমোদন এখনও পায়নি। তবে চেষ্টা চলছে এবং আমাদের একজন সেবিকা রয়েছে, তার সেবিকা হবার মতো কোনো একাডেমিক সার্টিফিকেট বা তিনি প্রশিক্ষিত নন।

এ ব্যাপারে বাগেরহাট সিভিল সার্জনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সরকারের নিয়ম-নীতি না মেনে যারা অনুমোদন ছাড়া বিভিন্ন রিপোর্ট প্রদান করে আসছে আমরা খুব দ্রুতই তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। চিকিৎসা সেবায় কোনো প্রকার অনিয়ম আশা করা যায়না। আমরা এব্যাপারে সচেষ্ট আছি।

সাধাণ রোগীরা যখন অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা সেবা নেয়ার জন্য এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারেরর সরনাপন্ন হয়ে থাকে তখনি গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় এসব চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র।

সাধারণ রোগীদের দাবি উন্নত ও মানসম্মত চিকিৎসা সেবা প্রদান নিশ্চিতের জন্য এসব হাসপাতালের ব্যবস্থাপণা ভালভাবে করা এবং যারা অবৈধভাবে অনুমোদন না থাকার পরেও বিভিন্ন রিপোর্ট প্রদান করছে তাদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।

 

ভুলুয়াবিডি/এএইচ

নিউজটি শেয়ার করুন।