ফকিরহাটে মৎস্য ঘের তলিয়ে নিঃস্ব মৎস্য চাষীরা

প্রকাশিত: ২:১৩ অপরাহ্ণ, জুন ২২, ২০২০

সাগর মল্লিক, ফকিরহাট প্রতিনিধি: সুপার সাইক্লোন ঘূর্ণিঝড় আম্পান এর তান্ডবে নিঃস্ব প্রায় ফকিরহাটের মৎস্য চাষীরা। সরকারি কোনো সহযোগিতা ছাড়াই না খেয়ে মরতে হবে উপজেলার অধিকাংশ মৎস্য চাষীদের।

একের পর এক প্রাকৃতিক দূর্যোগে মাথায় হাত ওঠেছে বাগেরহাটে ফকিরহাটের মৎস্য চাষীদের। বাগেরহাটের উপকূলীয় অঞ্চলসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার মানুষের জীবীকা এই মৎস্য চাষের ওপর নির্ভর করে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ক্ষতি সামাল দেবার আগেই ঘূর্ণিঝড় আম্পান এর আঘাত। আর এতে যেন নিঃস হতে বসেছে ফকিরহাটের মৎস্য চাষীরা। চিংড়ী ও সাদা মাছ রফতানির মাধ্যমে দেশের রাজস্ব খাত অনেকটাই সমৃদ্ধি হয়। নোনা পানি হওয়ায় এসব অঞ্চলে ধান চাষ বা অন্যান্য ফসলাদি না হওয়ায় মাছ চাষকেই বেছে নিয়েছে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ।

কিন্তু একের পর এক প্রাকৃতিক দূর্যোগ যেন এই চাষীদের বড় শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে। লক্ষ লক্ষ টাকা ঝণ নিয়ে করা অনেকের মৎস্য ঘের। প্রাকৃতিক দূর্যোগের ফলে ঘের ডুবে গিয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে চাষীরা। এর মধ্যেই কিস্তির চাপ রয়েছে মৎস্য চাষীরা নিরুপায় যেখানে লাভ হবে তো দূরের কথা, ঠিকমতো খরচের টাকায় উঠাতে পারছেনা চাষীরা।

দূর্যোগের ফলে নিঃস্ব প্রায় এসব মৎস্য চাষীদের একমাত্র এখন ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারি সহায়তার। সরকারি হিসাবমতে বাগেরহাট জেলায় এ বছর সাড়ে ৬৬ হাজার হেক্টর জমিতে ৭৮ হাজারের বেশি মৎস খামার রয়েছে সরকারের নিবন্ধিত।নএর বাহিরে আরও রয়েছে অনেক মৎস্য চাষী।

সরকারি সহযোগিতা পেলে হয়তো এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে প্রান্তিক মৎস্য চাষীরা। আর এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারলে দেশে মৎস্য খাত অর্থনৈতিভাবে ব্যাপক পরিবর্তনের অংশীদার হতে পারবে বলে মনে করেন মৎস্য চাষীরা।

ফকিরহাট উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অভিজিৎ শীল বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগের ফলে উপজেলার অনেক মৎস্য ঘের তলিয়ে গিয়ে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এ জনপদের মৎস্য চাষীরা। তবে আমরা ইতোমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য চাষীদের নামের তালিকায় মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করেছি।

তিনি বলেন, আশা রাখি, খুব দ্রুত এ ক্ষতিগ্রস্থ থেকে মৎস্য চাষীরা সরকারের সহযোগিতা পেয়ে হাসিমুখ নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।

 

 

ভুলুয়াবিডি/এএইচ