ফাইল: ছবি বাড়ছে ইলেকট্রনিক বর্জ্য ভুলুয়া বাংলাদেশ ভুলুয়া বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: ৯:৫৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০২০ জাতিসংঘের এক রিপোর্টে জানা গেছে, গত বছর বিশ্বজুড়ে ৫২.৭ মিলিয়ন টন ই-ওয়েস্ট বা ইলেকট্রনিক বর্জ্য তৈরি হয়েছিল। সেসব ইলেকট্রনিক বর্জ্যের পাঁচ ভাগের এক ভাগ রিসাইকেল করা হয়। পরিত্যক্ত ফোন, টিভি, কম্পিউটার, প্রিন্টার সহ ইলেকট্রনিক সব সরঞ্জাম যা ব্যবহার করা হয় না, সেগুলোই ইলেকট্রনিক বর্জ্য। ২০১৯ সালে বিশ্বে যতো ইলেকট্রনিক বর্জ্য তৈরি হয়েছিল সেগুলোর ওজন ইউরোপের সব পূর্ণবয়স্ক মানুষের চেয়েও বেশি ছিল। আরেক মজার তথ্য হলো সেসব ইলেকট্রনিক বর্জ্য দিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম ক্রুজ জাহাজ কুইন মেরি টু এর মতো ৩৫০টি বিশাল জাহাজ তৈরি করা যেত। বর্জ্যগুলোকে এক সারিতে রাখলে হয়ে যেত ৭৫ মাইলের চেয়েও দীর্ঘ লাইন। পৃথিবীতে শিশু সহ যতো মানুষ আছে, সবার হিসেবে গড়ে ১৬ পাউন্ড বর্জ্য তৈরি হয়েছে। ২০১৪ সালের পর ৫ বছরে বিশ্বের ইলেকট্রনিক বর্জ্য বেড়েছে ২১ শতাংশ। জাতিসংঘ সতর্ক করে জানিয়েছে, ২০৩০ সালে বিশ্বে ইলেকট্রনিক বর্জ্য হবে ৭২.৮ মিলিয়ন টন। ইলেকট্রনিক বর্জ্য মানবদেহ ও পরিবেশের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এসব বর্জ্যে মার্কারির মতো উপাদান থাকে, যা মানুষের মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। এমনকি পরিত্যক্ত ইলেকট্রনিক্স পরিবেশে ক্ষতিকর উপাদান ছড়িয়ে দেয়। মাটিতে থাকলে ইলেকট্রনিক বর্জ্য ভূগর্ভস্থ পানিকে বিষাক্ত করে তুলতে পারে, যা পশু ও গাছপালার জন্যও হয়ে উঠতে পারে ক্ষতিকর। জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি ডেভিড এম ম্যালোন বলেন, ‘বিশ্বে ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন, ভোগ ও পরিত্যাগের বিষয়গুলো জরুরি ভিত্তিতে টেকসই উপায়ে বিবেচনা করতে হবে। নতুন রিপোর্টটি সেই বার্তাই দিচ্ছে আমাদের।’ বিশ্বে মোট ইলেকট্রনিক বর্জ্য সবচেয়ে বেশি ৪৬.৪ শতাংশ তৈরি হয় এশিয়ায়। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে আমেরিকা (২৪.৪ শতাংশ), তৃতীয় স্থানে ইউরোপ (২২.৩ শতাংশ)। আর আফ্রিকা ও ওশেনিয়ায় তৈরি হয়েছে যথাক্রমে ৫.৪ ও ১.৩ শতাংশ। জাতিসংঘের রিপোর্টটিতে এটাও জানা গেছে যে, এশিয়াতে সবচেয়ে বেশি ওজনের (২৪.৯ মিলিয়ন মেট্রিকটন) ইলেকট্রনিক বর্জ্য তৈরি হয়েছে। তাই এশিয়ার দেশগুলোকে এ ব্যাপারে টেকসই সিদ্ধান্ত নিতে হবে এখনই। রয়টার্স ভুলুয়াবিডি/এএইচ নিউজটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করুন। পোস্টটি দেখা হয়েছে- ১৪৪ শেয়ার করুন ফিচার শেয়ার করুন