রায়পুরে শিক্ষকের বাড়িতে হামলা-ভাংচুর-লুটপাট! রায়পুরে শিক্ষকের বাড়িতে হামলা! ভুলুয়া বাংলাদেশ ভুলুয়া বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: ১০:০০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০২১ রায়পুর সংবাদদাতা: লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌর শহরে মাদরাসা শিক্ষকের বাড়িতে হামলা-ভাংচুর-লুটপাট এর অভিযোগ উঠেছে এলাকার প্রতিপক্ষ শরিফ গংদের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার খেজুরতলা এলাকায় পীর ফজলুল্লাহ দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মাওলানা আবু সাইদ (৫২) এর বসতবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার প্রতিপক্ষ শরিফ গংদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে মাওলানা আবু সাইদ বাদী হয়ে শুক্রবার দিনগত রাতে রায়পুর থানায় ৪ জন’সহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনকে বিবাদী করে একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। রায়পুর থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. মোরশেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, উভয়পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মামলার বাদী মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আবু সাইদ গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমার প্রতিপক্ষ ১নং বিবাদী শরিফ হোসেন তার চাচা তোফায়েল আহম্মদের নিকট ৬ ডিং জমি বিক্রি করেন এবং আনোয়ার হোসেন তার চাচা তোফায়েল আহম্মদের নিকট ১.৫০ ডিং ভূমি তার চাচা তোফায়েল আহম্মদের নিকট বিক্রি করেন। এ ছাড়া আরো আনোয়ার হোসেন সেলিমের কাছে ২ ডিং জমি বিক্রি করেন। আমি বাদী তোফায়েল আহম্মদ থেকে গত ১৬/০২/১৯৯৯ইং সনে রায়পুর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস এর ৭৫৫ নং দলিলের ৭.৫০ ডিং জমি খরিদ করি। গত ২৬/০১/২০২০ইং তারিখে ১ ডিং জমি সেলিমের কাছ খরিদ করি। একুনে ২টি সাব কবলা দলিলে ৮.৫০ ডিং জমি খরিদ করিয়া দখলদার নিযুক্ত হই। উক্ত জমিতে ৩৬’র বন্ধ একটি চৌচালা ঘর নির্মাণ করি এবং এই ঘর খানা মাসিক ১৫০০/- (এক হাজার পাঁচশত) টাকা হারে ১নং স্বাক্ষীকে ভাড়া প্রদান করি। এই জমি বিবাদীরা মালিকানা দাবি করিয়া বিভিন্ন সময়ে দখল করতে আসে ও অহেতুক আমার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করে ও আমার উক্ত ঘরের ভাড়াটিয়াকে হুমকি ধমকি-ভয়ভিতী প্রদর্শন করে আসছে। এ জন্য আমি গত ১৩/০১/২০১৯ইং সালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্টেট লক্ষ্মীপুর আদালতে মিছ মামলা নং ২৬১/২০১৭ ইং দায়ের করি। মহামান্য আদালত মামলাটি পর্যালোচনা করে ০২/১১/২০২০ইং সালে আমাকে উক্ত জমিতে বহাল থাকার রায় প্রদান করেন। উক্ত রায়টিতে লেখা হয় (১ম পক্ষের নিরংকুশ দখল থাকার বিষয়টি আদালতের নিকট স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। সার্বিক বিবেচনা নালিশী ভূমিতে ২য় পক্ষ কর্তৃক জবর- দখল হওয়ার আশংকার বিষয়টি আলাদতের নিকট যথাযথভাবে প্রতীয়মান হওয়ায় ২য় পক্ষকে শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলীয় নালিশী অর্থাৎ রায়পুর থানার পূর্বলাছ মৌজার নামজারী খতিয়ান নং-১১২৬/ হোল্ডিং নং- ১১২৬, দাগ নং- ১২৭৭/১২৭৬ দাগের অন্দরে ৮.৫০ শতক ভূমিতে অনুপ্রবেশ বারিত করা হলো)। এ বিষয়ে রায়পুর থানা গত ১২/০১/২০০১ইং তারিখে বিবাদীগনকে উক্ত জমিতে প্রবেশ না করার জন্য নোটিশ প্রদান করিলে বিবাদীগন ক্ষিপ্ত হইয়া থানাকে বিদ্যাঙ্গুলী দেখাইয়া ঘটনার তারিখ ও সময় অদ্য ১৫/০১/২০২০ইং তারিখ রোজ শুক্রবার সময় অনুমান দুপুর ১২ টার দিকে ১ ও ২নং বিবাদীর নেতৃত্বে অন্য বিবাদী’সহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন নিয়ে দেশিয় অস্ত্র-সস্ত্র সজ্জিত হইয়া আমার বসতঘরের ভাড়াটিয়াকে জোরপূর্বক বের করে বসতঘরে হামলা-ভাংচুর চালিয়ে ঘরে থাকা নগদ ৯৫ হাজার টাকা এবং ঘরের আসবাবপত্র, হাঁড়ি, পাতিল ভাংচুর করে। পরে ভাড়াটিয়ার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে এবং আমরা স্বাক্ষীরা খবর এগিয়ে আসলে বিবাদীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমার ৫ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতিসাধিত হয়। বিবাদীরা সর্বমোট ৭ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। এ ছাড়া বিবাদীগন আমাদেরকে প্রাণে হত্যা করিয়া লাশগুম করিবে এবং বসতঘর ছেড়ে না দিলে আগুন জ্বালিয়ে দিবে বলিয়া প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করেছে। আমি’সহ পরিবারের সদস্য, স্বাক্ষীগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভূগতেছি। যোগাযোগ করা হলে প্রতিপক্ষ শরিফ হোসেন বলেছেন, এগুলো আমাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি। এখানে আমাদের বসতঘর রয়েছে। মাওলানা আবু সাইদ আমাদের সম্পত্তি পিছনের অংশ অন্যজন থেকে খরিদ করে, সে জায়গা না গিয়ে আমাদের জায়গা সে দখল করে আছে। আমাদের দলিলপত্র সবকিছু রয়েছে। ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ভিত্তিহীন, তারা নিজেরাই তাদের ঘর ভেঙ্গে আমাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল জলিল বলেন, অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভুলুয়াবিডি/এএইচ নিউজটি শেয়ার করুন। পোস্টটি দেখা হয়েছে- ৩৭৯ শেয়ার করুন সারা বাংলা শেয়ার করুন লক্ষ্মীপুর-রায়পুরহামলা-ভাংচুর-লুটপাট