নিজ সন্তান হত্যা মামলার আসাসী বাবা'র মৃত্যু লক্ষ্মীপুর কারাগারে নিজ সন্তান হত্যা মামলার আসাসী বাবা’র মৃত্যু ভুলুয়া বাংলাদেশ ভুলুয়া বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: ৪:১৬ অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০২০ লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারে নীজ সন্তান হত্যা মামলার আসামী ফয়েজ আহাম্মদ মনু’র (৪৫) মৃত্যু হয়েছে। ফয়েজ সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে। সোমবার (২৯ জুন) রাত আড়াইটায় হার্ডস্টোক মারা যান তিনি। কারাগারের দায়িত্বরত জেলার মো. সাখাওয়াত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে তিনি জানান, সোমবার রাতে হার্ডস্টোক করলে হত্যা মামলার আসামী ফয়েজ আহাম্মদ মনুকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি মামলার এজহার সূত্র উল্লেখ করে আরো জানান,এর আগে চন্দ্রগঞ্জে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে দেড় বছরের শিশু কন্য রাহিমাকে হত্যা করে ফয়েজ আহাম্মদ মনু। এরপর পুলিশ তদন্তে আটকের পর আদালতে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক জবানবন্দি রেকড করেন। ওই ঘটনায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর কারাগারে ৪৮ দিন থাকার পর মারা যান তিনি। মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর নিহতের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। মামলার বাদী রাশেদা আক্তার সুমি জানান,কারাগারে মৃত হত্যা মামলার আসামী ফয়েজ আহাম্মদ মনু (৪৫) তার স্বামী। তিনি সামাজিকতা রক্ষায় মৃতদেহ নিতে এসেছেন। তা না হলে আসতেন না উল্লেখ করে আরো জানিয়েছেন, পতিপক্ষ হত্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য নিজের মেয়েকে হত্যা করে তাকে স্বাসী হিসেবে ঘৃনা করেই সন্তান হত্যার বিচার চেয়ে থানায় মামলা করেছিলেন তিনি। মামলার বিচার শেষ না হতেই কারাগারে ৪৮ দিন যেতেই তার মেয়ে হত্যার কর্মকাণ্ডের শোকে মৃত্যু হয় মনুর। চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি মো. জসীম উদ্দীন জানান,চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব গ্রামের ফয়েজ আহাম্মদ মনু সাথে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো একই এলাকার মতিনের সাথে। ঘটনায় পতিপক্ষ মতিনকে কাবু করতে না পেরে হত্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য ফয়েজ নিজ মেয়েকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ৫ মে বেলা ১২টার দিকে। পরে কোলে করে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে রাখেন তিনি। মেয়ে হারিয়ে গেছে ওই দিন রাত ১০টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হারানোর জিডি করেন ফয়েজ। তিন দিন পর রাতে লাশ ঝোপ থেকে নিয়ে নিজের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন ফয়েজ নিজেই। পরদিন সকালে ফয়েজ থানায় ফোন করে লাশ পাওয়ার গেছে বলে পুলিশকে জানানো হয়। পরে শনিবার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে ফয়েজের দেড় বছরের রাহিমার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনা তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বাবা ফয়েজকে। বাবা তার মেয়েকে হত্যার দায় স্বীকার করে লক্ষ্মীপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে জানিয়েছেন। এ ঘটনায় শিশুর মা রাশেদা আক্তার সুমি বাদি হয়ে স্বামী ফয়েজ আহাম্মদ মনু (৪৫) কে প্রধান আসামী করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। যাহার নং-০৬/১০৫।’’ ভুলুয়াবিডি/এএইচ পোস্টটি দেখা হয়েছে- ১৭৮ শেয়ার করুন সারা বাংলা শেয়ার করুন