লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটে ২ দিন ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ, জনদুর্ভোগ চরমে ভুলুয়া বাংলাদেশ ভুলুয়া বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: ১২:২৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১২, ২০২২ স্টাফ রির্পোটার (লক্ষ্মীপুর): অতি জোয়ারের পানিতে ফেরিঘাট প্লাবিত হয়ে দু’দিন ধরে লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে মজুচৌধুরীর হাট ফেরী ঘাট এলাকায় শতাধিক পন্যবাহী গাড়ী আটকা পড়ে আছেন। এ ছাড়াও ভোগান্তীতে পড়তে হচ্ছে ট্রাক চালক ও যাত্রীদের। জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুট হয়ে লক্ষ্মীপুর’সহ দেশের দক্ষিণাচলে ২১ জেলার মানুষের যাতায়াতের কথা চিন্তা করে ২০০৬’র এপ্রিল মাসে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা মজুচৌধুরীরহাট লঞ্চঘাটটি চালু করেন সরকার। ওই সময় কামিনী, কিষানী ও কস্তুরী নামের তিনটি ফেরি এ নৌপথে চলাচল করত। এরপর বিআইডব্লিওটিএ কামিনি ও কস্তুরি নামের ২টি ফেরি প্রত্যাহর করে নেয়। বর্তমানে কদম, কুশমকলী,কনকচাপাঁ ও কিষাণী নামের চারটি ফেরি এ রুটে রয়েছে। এরমধ্যে ৪টি ফেরি চলাচল করলেও ইলিশা ফেরিঘাটে একটি হাই ওয়াটার ও একটি লোওয়াটার ঘাট থাকলেও নিন্মচাপ প্রভাবে অতি জোয়ারে মেঘনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ২ দিন দুপুর হলেই ঘাট দুটি তলিয়ে রয়েছে।এমতবস্থায় ফেরির পন্টুন ও গ্যাঙওয়ে ডুবে যাওয়ার ফলে ফেরিতে উঠানামা করতে পারছে না যানবাহন বলছেন ট্রাক ও পন্যবাহী গাড়ী চালকরা। তারা আরো জানিয়েছেন, ঘাটের দু-পাড়ে আটকা পড়েছে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। এতে অনেকটা চরম ভোগান্তিতে পড়েন যানবাহনের চালকদের। ভোলাগ্রামী ট্রাক চালক জুনাহিদ ফরাজি জানিয়েছেন, তিনি চট্রগাম থেকে পণ্য নিয়ে ভোলার উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন। গত দু’দিন ধরে তিনি ঘাটে আটকা রয়েছেন। তাকে ফেরি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ফেরির গ্যাঙওয়ে ডুবে যাওয়ায় ফেরি চলাচল করতে পারছে না। এদিকে, লক্ষ্মীপুর ঘাট থেকে যানবাহন নিয়ে ছেড়ে যাওয়া ফেরিগুলো পানির কারণে তীরে এসে নামতে পারছে না। এ কারণে এখানে ফেরি এসে পানি বৃদ্ধিতে ফেরিতে করে গাড়ী পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে। ট্রাক চালক জাহাঙ্গীর মাঝী টেলিফোনে জানিয়েছেন, তিনি ফেরিতে ট্রাক নিয়ে রয়েছেন নদীতে। গত দু’দিন ধরে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোলায় পৌঁছে তিনি আটকা রয়েছেন। পানি নেমে গেলে ট্রাক নামাবেন তিনি। আরেক চালক সবুজ গাজী জানিয়েছেন, তিনি ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় ঘন্টার পর ঘন্টা ট্রাকে কাঁচামাল নিয়ে আটকে আছেন লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরীর হাট ঘাটে। খাদ্য সামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তবুও সিরিয়াল পাচ্ছেন না তিনি। তার মতো অনেক ছোট যাববাহন চালক রয়েছেন ঘাটে আটকে অর্ধাহারে-অনাহারে দিনাতিপাত করছেন। তবুও সিরিয়াল পাচেছনা তারা। এছাড়া একই সমস্যাসহ সঠিক সময়ে গন্তব্যে না পৌছাঁয় সীমাহীন দূভোর্গে পড়তে হয়েছে অভিযোগ করেন চালকরা। তাদের অভিযোগ,চলাচল শুরু হলে আবার ফেরিতে উঠতে এমনকি নতুন করে সিরিয়াল নিতে যানবাহন চালককে দিতে হবে টাকা। আর টাকা না দিলে দিনের পর দিন পণ্যবাহী যানবাহন ঘাটে আটকে থাকতে হবে বলে অভিযোগ করেন তারা। অভিযোগ অস্বীকার করে বিআইডব্লিউটিসি-এর লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটের দায়িত্বরত ভোলা মেরিন অফিসার মো. আল আমিন জানান, বুধবার দুপুর থেকে অতি জোয়ারে ফেরিঘাটের গ্যাঙওয়ে ডুবে যায়। লক্ষ্মীপুর ঘাট থেকে যানবাহন নিয়ে ছেড়ে আসা ফেরিগুলোর যানবাহন জোয়ারের পানির কারনে তীরে নামতে পারছে না। এছাড়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ইলিশা ফেরিঘাটে তিন থেকে চার ফুট পানি উঠে ঘাটগুলো তলিয়ে গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সাময়িকভাবে ফেরিচলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পানি কমে গেলে ফেরি চলাচল আবার স্বাভাবিক করা হবে। ভুলুয়াবিডি/এএইচ সংবাদটি শেয়ার করুন। পোস্টটি দেখা হয়েছে- ১৪৪ শেয়ার করুন প্রাকৃতিক দূর্যোগ শেয়ার করুন জনদুর্ভোগপ্রাকৃতিক দুর্যোগলক্ষ্মীপুর